অ্যাসিড হামলায় অভিযুক্তের জামিন খারিজ করলো আদালত

13th May 2021 9:33 pm বর্ধমান
অ্যাসিড হামলায় অভিযুক্তের জামিন খারিজ করলো আদালত


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  যুবতীর উপর অ্যাসিড হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের  জামিন ফের নাকচ করল বর্ধমান  আদালত।ধৃতের নাম ধ্রুবরাজ মুর্মু। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার মুহিন্দর গ্রামে তার বাড়ি।জামিনের জন্যে ধ্রুবরাজ  জেলা জজের আদালতে আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে ধ্রুবরাজ মুর্মুর জামিনের শুনানি হয় । ধৃতের আইনজীবী জামিনের দাবি করলেও  যুবতীর আইনজীবী অজয় দে জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারক ধ্রুবরাজের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।  পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীর বাড়ি জামালপুর থানার মুহিন্দর গ্রামেই । যুবতীর বাবা গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে পাশের সাহাপুর গ্রামে পুজো দেখতে যান। ওই দিন  রাত দেড়টা নাগাদ তিনি বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ধ্রুবরাজ সহ তিনজন টয়লেটের গামছা দিয়ে যুবতীর  গলায় ফাঁস দিয়ে ধরে আছে। যুবতীর  জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া ও ছুরি দিয়ে  হাত কেটে দেওয়ার পাশাপাশি যুবতীকে অ্যাসিড জাতীয় কিছু দিয়ে জখম করা হয়েছে বলেও যুবতীর বাবা দেখতে পান ।অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে যুবতীয় বাবা  বিষয়টি এলাকার  সিভিক ভলান্টিয়ারকে জানান। তারপর তিনি তাঁর মেয়েকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান । যুবতীর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবতীর উপর অ্যাসিড হামলা ও পাশবিক নির্যাতন  চালার কথা ওই সনয়ে জানান । কিন্তু, থানা সেবার কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযুক্ত যুবক ধ্রুবরাজ মুর্মুর বিরুদ্ধে   যুবতীর  উপরে দ্বিতীয়বার  অ্যাসিড হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ।এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই  পুলিশ ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ।তার পর থেকে যুবক ধ্রুবরাজ মুর্মু জেল হেপাজতেই রয়েছে । 

 
 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।